ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ , ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ই-পেপার

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ

আপলোড সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ১১:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ১১:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ
৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় আসার পর ফেডারেল সরকারের ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই এবং নির্বাহী ক্ষমতার ইচ্ছামতোন ব্যবহারের অভিযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার মিত্র ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনসহ দেশটির অনেক অঙ্গরাজ্যে বড় ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে একদিনে এটিই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্প বিরোধী এ বিক্ষোভ দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শনিবার (৫ মার্চ) ওয়াশিংটনের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ এবং হালকা বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলে ট্রাম্পবিরোধী প্রতিবাদে অংশ নেয় বেশ কিছু সংগঠন। ওয়াশিংটন ছাড়াও নিউইয়র্কে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয় অসংখ্য মানুষ।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ শুল্কনীতির আড়ালে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের কর্তৃত্ববাদী রূপের বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ছিলেন বিজ্ঞানী, শিল্পী, শিক্ষক, এমনকি সাধারণ গৃহিণীও। তাদের মতে, এই শুল্কনীতি শুধু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নয়, খাদ্য, প্রযুক্তি ও জ্বালানির দামকেও প্রভাবিত করছে।

শনিবারের এই বিক্ষোভের নাম দেয়া হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’। এর একটি অর্থ হতে পারে,‘আমাদের নিজের মতো চলতে দাও’। এসব বিক্ষোভে ১৫০টির মতো গোষ্ঠী অংশ নিয়েছে।

এ ছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ব্যানার হাতে জড়ো হয়েছেন প্রায় ২০০ প্রতিবাদকারী, যাদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি, যা বিশ্ব বাণিজ্যের ওপর একতরফা হস্তক্ষেপ বলে মনে করছেন তারা।

একইদিনে প্যারিসের রাস্তায়ও দেখা গেছে শত শত মানুষকে। তারা জানান ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কেবল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়, বরং ইউরোপের অর্থনীতির জন্যও ধ্বংসাত্মক। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট ও বার্লিনেও একইরকম প্রতিবাদ হয়েছে। তবে সমালোচনার বিপরীতে ট্রাম্পের সমর্থকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল । যুক্তরাষ্ট্রকে আবার স্বনির্ভর করতে চান ট্রাম্প, এমনটাই দাবি তাদের।

বিশ্বজুড়ে যখন সহনশীল বাণিজ্যনীতির প্রয়োজন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক আরোপ নতুন বিভাজনের সূত্র হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্পের এই নীতির প্রতিবাদ তাই শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং এক বৈশ্বিক প্রতিরোধে রূপ নিতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেন তারা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ